সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের হাসপাতাল রোড হাউজিং এস্টেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
কামরুল হাসান লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরপাগলা গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে।
ভুক্তভোগী একাধিক রোগী জানান, ভুয়া ওই ডাক্তার দীর্ঘদিন মাইজদী শহরের মাতৃছায়া হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডে পিজিটি (মেডিসেন), নিউরোমেডিসিন, হৃদরোগ বক্ষব্যাধি, বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে প্যাড ব্যবহার করে চেম্বারে রোগী দেখছেন। তার বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার পর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।
পরে তিনি এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। এর আগে একই হাসপাতাল থেকে ১২ নভেম্বর ২০১৮ সালে আরেক ভুয়া ডাক্তার আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে জেলা সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় সে ভুয়া ডাক্তার প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
আরএ