মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ শহর ও সদর উপজেলার প্রায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ৬শ লিটার পানি বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়।
সুনামগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে সকালে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আরও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করা হয়।
বন্যা দুর্গতদের মধ্যে আর বিশুদ্ধ পানির সংকট হবে না বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার ইয়াকুব মিয়াসহ দপ্তরের অন্য সদস্যরা।
ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলায় উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে যে সব আশ্রয়কেন্দ্রে নলকূপ ছিল না সে সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৪০টি নতুন নলকূপ বসানো হয়েছে। বাঁধে অথবা যে কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে জরুরি প্রয়োজনে নলকূপ স্থাপনে প্রস্তুত রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
নলকূপ পরিষ্কার করার জন্য ৬শ কেজি ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। দুইটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়া ১০টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাল রাখার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে স্থাপনের জন্য ৩শ ল্যাট্রিন দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বন্যার্ত মানুষের সেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু জেলায় নয় উপজেলাগুলোতেও কড়া নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে যাতে কেউ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত না হয়। বিশুদ্ধ পানি পান করণে অনেক রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে গ্রামের লোক জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
আরএ