মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অন্যদিকে করতোয়ার পানি ১৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে আর তিস্তার পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমেছে।
ইতোপূর্বে জেলার যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল ওইসব এলাকা আবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে দিনাতিপাত করছেন তারা।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানি আরও দুইদিন বাড়বে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে। বাঁধের অবস্থা এখনও ভালো আছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য নতুন করে ১শ মেট্রিকটন চাল, ৪ লাখ টাকা, ১ হাজার ৮শ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
আরএ