ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাহেদের তথ্য চেয়ে আরো সাত প্রতিষ্ঠানকে দুদকের চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
সাহেদের তথ্য চেয়ে আরো সাত প্রতিষ্ঠানকে দুদকের চিঠি মো. সাহেদ

ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে সকালে দুই সংস্থাকে চিঠি দেওয়ার পর বিকেলে আরো সাত প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

এদিন সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর দুটি চিঠি পাঠানো হয়।

এর পর উত্তর সিটি করপোরেশন, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখা ব্যবস্থাপক, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং এনবিআর’র কর অঞ্চল-৯ এর উপ-কর কমিশনারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে।

কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

দুদক সূত্র জানায়, ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নাম-পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নের্তৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।

অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে হাসপাতালটি। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আট জনকে আটক করেছে র‌্যাব। তবে চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এখনও ধরা পড়েনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
ডিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।