সস্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ এবং জাল টাকা রোধসহ গবাদিপশুর কৃত্রিম সংকট তৈরি বন্ধে ভ্র্যাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো অপর এক চিঠিতে জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকায় দেশের বাইরে থেকে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশকে যৌথভাবে কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ চোরাইপথে আসা বন্ধকরণে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো চিঠিতে আরো বলা হয়, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চতকরণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। হাটের বাইরে এবং অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ইজারা সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ। চাঁদাবাজি বন্ধ করে গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিত করা। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপতৎপরতা রোধ করে রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর চলাচল বন্ধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স্থাপিত চেক পোস্টে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ভ্র্যাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৯ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উক্ত মন্ত্রণালয়ে ‘কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/