সোমবার (১৩ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নাগাদ নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজবাড়ী জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এক পূর্বাভাসে পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সুরমা ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানির সমতল বাড়ছে যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় যমুনা নদী আরিচা পয়েন্টে, পদ্মা নদী ভাগ্যকূল ও মাওয়া পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আর তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
বর্তমানে ১৪টি নদ-নদীর পানি ২২ অঞ্চলে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে দেশে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে এসেছে। আগামী দু'দিনে আরো কমার আভাস রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ১০৪ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগে অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
**কুড়িগ্রামে ২০ গ্রাম প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
ইইউডি/এএ
