সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে, ঘাঘট নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। করতোয়ার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধিতে গাইবান্ধা সদরের পাঁচ গ্রাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ গ্রাম, সাঘাটা উপজেলার ১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গত মানুষগুলো পশু-পাখি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ভাঙনের হুমকির মুখে পড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, বন্যার্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এনটি