তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাবেন না। নদীর তীর দখলকারীরা শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ছিল, আমরা তাদের দখলদার হিসেবে দেখেছি।
সোমবার (১৩ জুলাই) উচ্ছেদ করা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীররক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন এবং বিরুলিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে অন্য কেউ বেশি অনুভব করেন না। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, দখলমুক্ত করা এবং জীবন-জীবিকার চাহিদা পূরণে সরকার সচেষ্ট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নদী তীরের ৯০ শতাংশ দখলমুক্ত করতে পেরেছি। সীমানা পিলার দৃশ্যমান, পাকা দেয়াল ও ওয়াকওয়ের কাজ চলমান। প্রকল্পের কাজের গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুমোদিত হলে নদী তীরের কাজগুলো আরো বেশি টেকসই হবে। ২০২৩/২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উদ্ধার করা জায়গায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর কার্যক্রম ধারাবহিকভাবে চলমান থাকবে। সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নদী রক্ষা, দখল ও দূষণরোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদিত হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার চারপাশের নদী নয়, ঢাকার মধ্য দিয়ে নৌ চলাচল সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে নিতে কাজ করছি। সরকার শত বছরের ডেল্টা প্ল্যান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন, ঢাকার চারপাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। তার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
জিসিজি/এএ