ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে মিলবে বিদেশ যাত্রীদের করোনা সনদ

102 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
সিলেটে মিলবে বিদেশ যাত্রীদের করোনা সনদ

সিলেট: করোনাকালে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বিভিন্ন দেশ। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা। কারো ছুটি শেষ। ভিসার মেয়াদও শেষ হওয়ার আশঙ্কা ভোগাচ্ছে অনেককে। এ অবস্থায় বিমানের ফ্লাইট চালু হলেও প্রয়োজন পড়বে করোনা ভাইরাস মুক্ত সনদের। এ কারণে বাড়তি বিড়ম্বনায় প্রবাসীরা। 

ফ্লাইট চালু হলেও করোনা ভাইরাস মুক্ত সদন পাবেন কোথায়? এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কোনো দপ্তরে তাদের যেতে হবে-তাও জানা নেই।

 
 
গত ৩ মাসে সিলেটের হাজার হাজার প্রবাসী করোনা মুক্ত সনদের জন্য সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
 
এ বছরের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে আসেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের খালেদ আহমদ। গত ২২ মার্চ ফ্লাইট ছিল। কিন্তু ফ্লাইট বাতিল হওয়াতে এখনো যেতে পারেননি। আর ফ্লাইট চালুর সঙ্গে সঙ্গে যেতে হলেও করোনা সনদ নিতে হবে। তাই বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা পাননি।  
 
রোববার (১২ জুলাই) সিলেটে আইনশৃঙ্খলা কমিটির ভার্চ্যুয়াল এক সভায় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্ত হন। এসময় প্রবাসীদের জেলা করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট প্রদানের প্রস্তাব করেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
 
তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, প্রবাসীদের অনেকের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফ্লাইট চালু হলেই তাদের কর্মস্থল সংশ্লিষ্ট দেশে যেতে হবে। কিন্তু তাদের করোনা সার্টিফিকেটের জন্য কোনো ধরনের নীতিমালা নেই। এ অবস্থায় হয়রানির শিকার হবেন তারা। বিষয়টি শুনেই গুরুত্বের সঙ্গে নোট নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজ রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা রয়েছে। ওই সভায় তিনি প্রস্তাবটি তুলবেন, যাতে এ নিয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদের হয়রানিতে পড়তে না হয়।
 
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশ যেতে প্রবাসীদের করোনা সংক্রান্ত সনদ দেশের সব সরকারি-স্বায়ত্বশাসিত ল্যাব থেকেই দেওয়া হবে। সময় হলে নির্দেশনা জারি করা হবে। তাতে প্রবাসীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
 
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। দেশের প্রতিটি জেলাতেই প্রবাসী রয়েছেন। সেসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের যাতে হয়রানিতে পড়তে না হয়, সেজন্য প্রতিটি ল্যাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে সনদ দেওয়া প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, কয়েকজন প্রবাসী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য কোনো প্রবাসীর করোনা সনদ প্রয়োজন পড়লে তিনি নির্দিধায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে সনদ ৭২ ঘণ্টার নাকি ৪ দিনের প্রয়োজন।
 
এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, করোনা সনদের জন্য গত ৩ মাসে কয়েক হাজার প্রবাসী যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সদুত্তর দিতে পারিনি। কেননা, তাদের সনদ দেওয়ার এখতিয়ার সিভিল সার্জনের নেই। অবশ্য সবে জেলার প্রবাসীদের জন্য ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩টি ল্যাবে নমুনা নিয়ে করোনার সনদ দেওয়া হয়। তবে জেলা পর্যায় থেকে প্রবাসীদের করোনা সনদ দেওয়ার অনুমতি দিলে ভোগান্তি লাঘব হবে।
 
এদিকে, করোনাকালে সিলেটের চার জেলায় কতসংখ্যক প্রবাসী দেশে অবস্থান করছেন, এ সংক্রান্ত তথ্য নেই জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে।
 
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক মীর কামরুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো এখানে এসেছি। সিলেটের হালনাগাদ তথ্য নেই। আগে থেকে করা হয়নি। সিলেট বিভাগ অথবা জেলার তথ্য নিতে গেলে ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে নিতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।