রোববার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—এসএইচএস হেল্থ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক্সের চেয়ারম্যান (ভুয়া চিকিৎসক) মো. শওকত হোসেন সুমন, ল্যাব টেকনোলোজিস্ট অসীম মন্ডল এবং ফার্মাসি ইনচার্জ মো. কাঁকন মিয়া।
শওকত হোসেন সুমন নিজেকে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ দাবি করতেন। দীর্ঘ ৩ বছর যাবত তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন। এছাড়াও হাসপাতালটিতে কোন পরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নানা ধরনের টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসছিলেন।
র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সুমন নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করেন। তবে তিনি কোন চিকিৎসা সনদ এবং বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। হেলথ কেয়ার হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদও ১ বছর আগে উত্তীর্ণ হয়েছে গেছে।
হাসপাতালটিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার এবং কার্বনডাই অক্সাইড সিলিন্ডারকে অবৈধভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডারে পরিবর্তন করে মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হাসপাতালের ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ভ্যাকসিন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, সরকারি ওষুধসহ নিষিদ্ধ যৌন উত্তেষক ওষুধ বিক্রি করা হয়। অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর একটি রুমকে আইসিইউ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল ওই হাসপাতালে।
র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, নানা অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে এসএইচএস হেল্থ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক্সের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সুমনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলোজিস্ট অসীম মন্ডলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ফার্মেসি ইনচার্জ মো. কাঁকন মিয়াকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এসজেএ/এমজেএফ