নদী তীরবর্তী চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতভিটা, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩০
সেন্টিমিটার, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে পানি বৃদ্ধিতে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর
উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতবাড়ি আবারও পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধসহ ফুলছড়ি ও সাঘাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
এছাড়াও নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও
সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় ভাঙনরোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
আরএ