ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি ফের বিপৎসীমার উপরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি ফের বিপৎসীমার উপরে

গাইবান্ধা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, করতোয়া ও তিস্তা নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে।

নদী তীরবর্তী চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতভিটা, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

 

রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩০
সেন্টিমিটার, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে পানি বৃদ্ধিতে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর
উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতবাড়ি আবারও পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধসহ ফুলছড়ি ও সাঘাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

অপরদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

এছাড়াও নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও
সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় ভাঙনরোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।