তিনি বলেন, এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
রোববার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। এর আগে মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং টাস্কফোর্স প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আজও ২২ জেলার জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে।
একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, সারাদেশে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩০টি জেলার ৫৪টি ভাঙন এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন এলাকাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক স্থানে স্থায়ী সমাধানও করা হয়েছে, বাকি প্রত্যেকটি ভাঙন এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ১৫টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলাগুলো হলো- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। এসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় পানি বেশি হয়, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
জিসিজি/এএ