ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য হোস্টেল মালিকদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য হোস্টেল মালিকদের মানববন্ধন

ঢাকা: করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা ও বাড়ি ভাড়া মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রত্যাশা করে মানববন্ধন করেছে হোস্টেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান টিটুর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল রশীদসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সকল জেলা থেকে ঢাকা শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য এবং প্রতিষ্ঠানে চাকরির উদ্দেশ্যে কর্মজীবী পুরুষ ও মহিলারা প্রতিনিয়ত ঢাকায় ছুটে আসছেন। ঢাকায় আসার পর প্রথমেই তারা যে সমস্যা মুখোমুখি হন, তা হলো আবাসন সমস্যা। এই বৃহৎ সমস্যা সমাধানকল্পে আমরা ১৯৯০ সাল থেকে বেসরকারিভাবে ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ছাত্রছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে কল্যাণমূলক কাজ করে আসছি।

তারা জানান, সমাজে কল্যাণকর প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তাদের নথিবদ্ধ করেছে। ঢাকা শহরে সহস্রাধিক হোস্টেলের মাধ্যমে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী বেসরকারিভাবে আবাসন ও নিরাপত্তা এবং ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে আসছিল।

হোস্টেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, বর্তমানে করোনায় সারা পৃথিবী জুড়ে যে পরিস্থিতি বিরাজমান তা থেকে বাদ যায়নি আমাদের বাংলাদেশ। যার ফলে মার্চের ২৫ তারিখ হতে বন্ধ আছে সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে তা ঠিক জানা নেই। আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল পরিশোধ করে থাকে।

তারা বলেন, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানা ও ঘরে অবস্থানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে সকলে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। তাদের সমস্ত বই-কাগজপত্র, পোশাক, ল্যাপটপ, সার্টিফিকেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হোস্টেলেই আছে। সংগত কারণেই আমরা এখন সমস্ত লোকসান মেনে নিয়েও হোস্টেল খালি করে বাড়িওয়ালাকে বাড়ি বা ফ্লাট বুঝিয়ে দিতে পারছি না। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এই ব্যাপারটাও সুস্পষ্ট নয়।

'একইসঙ্গে বেসরকারি কর্মজীবী মহিলাদের চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে হোস্টেলে আসছে কিন্তু হোস্টেল ছেড়েও দিচ্ছে না। আবার গত ৪ মাস থেকে হোস্টেলের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারছেন না অনেকে। করোনার এই পরিস্থিতিতে তাই আমরা হোস্টেল মালিকগণ চরম হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছি। '

নিজেদের অবস্থার কথা তুলে ধরে এসময় হোস্টেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো তাদের জন্যও বিশেষ প্রণোদনা সুবিধাসহ বাড়ির মালিকদের অন্তত ৬ মাসের ভাড়া মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এইচএমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।