রোববার (১২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওরোজি ও ইমেজিং বিভাগের ঢাকা ভার্সিটির চিকিৎসা অনুষদের ডিন মহোদয়ের অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মে মাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
অবস্থান কর্মসূচিতে ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষার্থী সাবিকুন নাহার বলেন, সামনে সেপ্টেম্বরে গত বছরের ইন্টার্নি ব্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি আমাদের পরীক্ষাটা না নেওয়া হয় তাহলে সারাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংকট দেখা দেবে। এজন্য বিগত এক মাস ধরে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করছি। এখনো আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাইনি। যে কারণে আমরা কর্মসূচি চালায়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যেটা দরকার সেটা হলো আগে মেডিক্যাল কলেজ খুলতে হবে। হোস্টেলগুলো খুলতে হবে। সবাইকে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন হবে। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু পরীক্ষা বন্ধ করেনি। বর্তমান প্রেক্ষাপট সবার জানা। ১৮ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। মে মাসে পরীক্ষার শিডিউল ছিল। ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা চলছিল সেটাও বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি। সেখানে কিভাবে পরীক্ষা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিক্যালসহ কয়েকটি হাসপাতালে করোনা রোগী। কিভাবে তাদের পরীক্ষা নেব? শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিলেতো হবে না। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে হয়। এ সময় কিভাবে সম্ভব। যদি একটা ছেলে-মেয়ে আক্রান্ত হয়, এর দায় কে নেবে। কলেজগুলো খুললেই এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এজেডএস/এনটি