কোরবানিকে সামনে রেখে চর এলাকার প্রায় অধিকাংশ পরিবারই পশু পালন করে আসছেন। বন্যায় চারপাশ ডুবে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মানদী বেষ্টিত ৪টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে চরজানাজাত, মাদবরেরচর ও বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনও। চর এলাকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের মধ্যে অন্যতম কৃষিকাজ, পশুপালন ও মৎস শিকার। তবে এসব এলাকার প্রায় প্রত্যেক কৃষক পরিবারেই একাধিক গবাদি পশু রয়েছে। চরাঞ্চল হওয়ায় গরু-ছাগল পালনের যথেষ্ট জায়গা এবং পর্যাপ্ত ঘাস ও খড়-কুটা রয়েছে। গাভী পালনের পাশাপাশি কোরবানিকে সামনে রেখে অনেকেই গরু লালনপালন করে থাকেন। চরাঞ্চলের মানুষের কৃষি কাজের পাশাপাশি গবাদি পশুপালন বাড়তি উপার্জনের একটা মাধ্যমও ।
সরেজমিনে উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের পানিবন্দি চারটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানি অনেকের ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। গবাদি পশুর ঘর উঁচু করে কোনমতে রাখা হয়েছে। আবার অনেকে মাচা তৈরি করে তার উপর ছাগল রেখেছেন।
পানিবন্দি মানুষেরা জানান, প্রতি পরিবারেই প্রায় দুই/তিনটি করে গরু আছে। বন্যার পানিতে চারপাশ ডুবে গেছে। গ্রামের রাস্তাও ভেঙে গেছে। চারপাশে পানি থাকায় গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এক কৃষক জানান, বন্যার পানিতে চারপাশ ডুবে যাওয়ায় গরু-ছাগল নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। এগুলোর ঠিকমত যত্ন নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। '
জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকাই বন্যা কবলিত। মাদবরচর ইউনিয়নের মিনাকান্দি, সাড়ে এগাড়রশি, সিংহকান্দি, খাড়াকান্দিসহ ৫টি ওয়ার্ডের সাড়ে পাঁচশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এমআরএ