ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা: বগুড়ায় একদিনে সুস্থ ৭৮, শনাক্ত ৫৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
করোনা: বগুড়ায় একদিনে সুস্থ ৭৮, শনাক্ত ৫৫

বগুড়া: বগুড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শমিজেক) হাসপাতালের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় জেলার মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এতে ২৯ জনের করোনা পজিটিভ আসে। বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৭৪টি নমুনার মধ্যে ২৬ জনসহ মোট ৫৫ জনের পজিটিভ এসেছে। এনিয়ে বগুড়ায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়ালো। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭০ জনের।

তিনি আরও জানান, নতুন আক্রান্তদের তেমন কোনো উপসর্গ না থাকায় তাদের নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে কারও অবস্থা জটিল মনে হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

বগুড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার কাবঘরিয়া এলাকার আবু বকর সিদ্দিকী (৬৫), ঠনঠনিয়া এলাকার মো. হানিফ (৭০) ও কাহালু উপজেলার জিল্লুর রহমান (৫৫)।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) হাসপাতালের মুখপাত্র ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরম্যাশন সিস্টেম ইউনিটের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, করোনায় মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে আবু বকর সিদ্দিকী আনসার বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার, মো. হানিফ মুদি দোকানি এবং জিল্লুর রহমানের পেশা জানা যায়নি।

তিনি জানান, বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে শনিবার (১১ জুলাই) কোভিড-১৯ পজিটিভ হন আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২টা ১০মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এছাড়া ওই হাসপাতালে নমুনা দিয়ে গত ৮ জুলাই কোভিড-১৯ পজিটিভ হন মুদি দোকানি হানিফ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে মারা যান তিনি।

অপরদিকে, করোনা পজিটিভ হয়ে গত শনিবার সকাল ৭টা ১০মিনিটে শজিমেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন জিল্লুর রহমান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি আরও জানান, বগুড়ার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
কেইউএ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।