গেল এক সপ্তাহে এ নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৮৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালীর বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার।
রোববার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির।
জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বাড়ার ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এমন অবস্থায় কৃষক তাদের অপরিপক্ক পাট কাটতে শুরু করে।
এদিকে পানি কমতে শুরু করে আবার বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার বিকেল ৩টার হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬ দশমিক ৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এ নদীতে ১৫ দশমিক ৫৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর পানি কমতে শুরু করে আবারও ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
হুমায়ুন কবির জানান, গেল এক সপ্তাহে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি পর্যায়ক্রমে কমতে শুরু করে আবারও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
কেইউএ/আরবি/