শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে থেকে রোববার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালের আইসোলেশন ও আইসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা কদম আলী (৬৫) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এরআগে সকাল ৭টায় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সুফিয়া বেগম (৬০) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শনিবার (১১ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শনিবার (১১ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ১টায় শেবাচিম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের স্বজন আ. গনি হাওলাদার (৭০) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গত ৭ জুলাই সকাল ৯টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হলে রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।
এছাড়া শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে বরিশালে উজিরপুর উপজেলার পূর্ব সাতলা গ্রামের সন্তস কুমার রায় (৬৮) শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মৃত চার জনের মধ্যে এক জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পেলে তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে করোনা, আইসোলেশন ও আইসিইউ ইউনিটে ১৩১ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ছিলেন ৫১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এমএস/আরআইএস