এদিকে যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষজন।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিরাজগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিদৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা স্পর্শ করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এর আগে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জুনের শেষে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১ জুলাই স্থিতিশীল থাকার পর ২ জুলাই থেকে কমতে থাকে পানি। টানা নয়দিন পানি কমার পর ১০ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে যমুনার অভ্যন্তরীণ চারঞ্চলগুলো দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আবারও পানিবন্দি হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এসআরএস