এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১১ জুলাই) দিনগত এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির দাবি, সৈয়দ আলম চিহ্নিত মাদককারবারি।
টেকনাফ-২ এর বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজের নিকটবর্তী কেয়ারি খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকবে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা দুইজন লোককে খালের পাড়ে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তিকে নাফনদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। তিনি খালের মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে অপেক্ষমান দুই ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় টহলদল চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক টহলদলটি তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়েন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়েন। একপর্যায় সবাই পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, এক রাউন্ড কার্তুজ ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ইয়াবাকারবারিকে উদ্ধার করা হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জরুরি চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পৌঁছালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, নিহত সৈয়দ আলম মিয়ানমার মণ্ডু থানার বালুখালির গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি টেকনাফ পৌর এলাকার নাইট্যংপাড়া বসবাস করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এসবি/এএটি