ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ক্রেতাশূন্য দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ‘সাতমাইল’

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
ক্রেতাশূন্য দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ‘সাতমাইল’

বেনাপোল (যশোর): আর কিছুদিন বাদেই ঈদুল আজহা। অন্য বছরগুলোতে এ সময় জমজমাট থাকে কোরবানির পশুর হাটগুলো। কিন্তু এবারে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাস্তবতা ভিন্ন। অনেকটাই ক্রেতাশূন্য পশুর হাটগুলো। একই চিত্র দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট শার্শা উপজেলার সাতমাইলেও। এ হাট থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরাও গরু ও অন্যান্য পশু কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবারে এখন পর্যন্ত জমে ওঠেনি এ হাট। 

খামারিদের বক্তব্য, এ বছর ভারতীয় গরু না আনা হলেও করোনার কারণে ক্রেতা কম থাকায় দেশি গরুও ভালো দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে করোনা ও ঈদ ঘিরে বেড়ে গেছে গো-খাদ্যের দাম।

সব মিলিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।  

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুমা আখতার জানান, এবার কোরবানি ঘিরে দেশে ভারতীয় গরু-ছাগল না এলেও করোনার কারণে পশুর হাটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যশোর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩টি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সাতমাইল হাটটি। আমরা আমাদের দিক থেকে সুস্বাস্থ্যবান ও পুষ্টি মানসম্পন্ন পশু পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে।  ক্রেতাশূন্য দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ‘সাতমাইল’।  ছবি- বাংলানিউজ

করোনা পরিস্থিতিতে পশু বিক্রিতে ভাটা পড়েছে জানিয়ে সাতমাইল পশুর হাটের সহ-সভাপতি আবু তালেব বাংলানিউজকে জানান, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এ হাটে প্রতি বছরই স্থানীয় খামারি ও ব্যাপারীরা বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে আসেন। এবারও এসেছেন। তবে এ বছর করোনার কারণে হাটে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা নেই। এ বছর সরকারিভাবে ৫ কোটি টাকা দিয়ে এই হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা কম থাকায় পশু কেনা-বেচাও কম, আর তাতে ইজারার টাকাও উঠছে কম। এমন চলতে থাকলে হাট কর্তৃপক্ষকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।  

তিনি আরো জানান,  করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে আমরা মাইকিং করছি। এছাড়া সার্বক্ষণিক এ হাট প্রশাসনের তদারকিতে আছে। এত কিছুর পরেও এবার বিক্রেতারা অনেক লোকসানে পশু বিক্রি করছেন।

হাটের ইজারাদার নাজমুল হাসান জানান, এ হাট আমরা এক বছরের জন্য সরকারিভাবে ৫ কোটি টাকা দিয়ে ডেকে নিয়েছি। প্রতি হাট হিসাবে সরকারকে দেওয়া লাগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। করোনার কারণে সরকারের নির্দেশনায় আমরা দুই মাসের বেশি সময় হাট বন্ধ রেখেছিলাম। তাতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের এই ক্ষতিটা যেন পুষিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পাই।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ১২ জুলাই, ২০২০
জেডএআর/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।