শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যান।
নিহত আব্দুল খালেক ধুনট উপজেলার চকমেহেদী গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে এবং গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
জানা যায়, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের চকমেহেদী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক শনিবার দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ ঘরের ভেতর বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। তখন ঘরের জানালা খোলা ছিল। এ সুযোগে বিকেলে প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম জানালা দিয়ে বিছানায় ঘুমানো আব্দুল খালেকের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আব্দুল খালেক মারা যান।
এর আগে, রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুল খালেকের দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা বৈঠক করে উভয় পক্ষকের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে। কিন্ত তারপরও রফিকুলের মনের ক্ষোভ শেষ হয়নি। এ ঘটনার জের ধরে রফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল খালেককে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বাংলানিউজকে জানান, এই খুনের নেপথ্যে নারী ঘটিত কোনো বিষয় থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
কেইউএ/এনটি