শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ রামনগরের তেঁতুল বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার কর হয়। মৌসুমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের সমশের উদ্দীনের মেয়ে।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন খয়েরতলা গ্রামে রোকন উদ্দীনের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌসুমির। স্বামীর সংসারে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন মৌসুমি। মাঝে মধ্যে তার স্বামী সেখানে যাতায়াত করতেন। মৌসুমির চার বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ২ জুলাই রাতে তার বাবার বাড়ি রামনগর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
নিহতের ভাই সুজন হোসেন বলেন, গত ২ জুলাই আমার এক আত্মীয় অসুস্থ থাকায় আমার মা মৌসুমির ছেলেকে নিয়ে সেখানে যান। বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে শুধু আমার বোন ও তার জামাই রোকন উদ্দীন ছিলেন। ৩ জুলাই আমার ভগ্নিপতি সকালে প্রতিবেশীদের জানায় রাত ৩টার পর থেকে মৌসুমিকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেসময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন। ঘুম থেকে উঠে দেখেন মৌসুমি ঘরে নাই। এরপর ওই দিন ভগ্নিপতি রোকন নিজেই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমরা সবাই বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে কোথাও পাইনি।
শনিবার বিকেলে মাঠে কাজ করতে যাওয়া এক কৃষক বিলে মৌসুমির মরদেহ ভাসতে দেখতে স্থানীয়দের জানান। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
আরএ