ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে করোনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
বাগেরহাটে করোনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু

বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক পল্লী চিকিৎসক ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (১১ জুলাই) সকালে খুলনা কোভিড হাসপাতালে (ডায়াবেটিস হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায়  পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী (৬০) মারা যান। বিকেলে ইয়াদ আলীর ছেলে খান জাহান আলী (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

 

এর আগে ৬ জুলাই করোনা উপসর্গ থাকায় ইয়াদ আলীর পুরো পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় ইয়াদ আলীসহ তার পরিবারের চার জন করোনা পজিটিভ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (৮ জুলাই) সকালে ইয়াদ আলীকে খুলনা কোভিড হাসপাতালে এবং ও তার ছেলেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এছাড়া আব্দুস ছালাম নামে এক গ্রাম পুলিশ একই হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনছার ও ভিডিপির বাগেরহাটের সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। বুকে ব্যথা নিয়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে আসেন আনছার ভিডিপির এই কর্মকর্তা। পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে বেডে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।

ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, খুলনা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াদ আলীর ছেলে খান জাহান আলীরও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফকিরহাট উপজেলায় মোট চার জনের মৃত্যু হল।

অসীম কুমার সমাদ্দার আরও বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আব্দুস ছালাম সকালে ফকিরহাট হাসপাতালে আসেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফকিরহার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আব্দুস ছালামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস ছালামের মৃত্যু হয়। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যাবে তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন কি না।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন,  ফকিরহাটে আজকে কোভিড পজিটিভ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাগেরহাটে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আজকে খুলনা ও যশোর থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
 এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৮ জনে। এর মধ্যে ১৯০ জন সুস্থ ও অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ