ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনলে হাসিল লাগবে না: মেয়র আতিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনলে হাসিল লাগবে না: মেয়র আতিক

ঢাকা: ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে যারা গরু কিনবেন তাদের হাসিল দেওয়া লাগবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনলে ক্রেতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গরু বাসায় নিতে পারবেন। আবার ক্রেতা চাইলে শুধু মাংস স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। 

শনিবার (১১ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কোরবানি পশু বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।  

এ-টু-আই ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ ই-হাটের কার্যক্রম চলবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল পশুর হাটের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে এবারই প্রথম পশু কোরবানির আগে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আমরা ক্রেতাদের জানানোর জন্য বলছি গরুর দামের সঙ্গে একটি গেটওয়ে থাকবে তার মাধ্যমে কোরবানি দেওয়া হবে।  

তিনি বলেন, গরু বা মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়া বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঈদের দিন উত্তর সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ৪০০ গরু কোরবানি দেওয়া হবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন দেওয়া হবে এক হাজার ও তৃতীয় দিন দেওয়া হবে ৬০০ গরু। এজন্য কসাইদের বুকিংসহ তাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে। ঈদের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত কোরবানির ব্যবস্থা রাখা হবে।

মেয়র আতিক বলেন, ক্রেতা যেখানেই থাকুক না কেন যদি অনলাইনে বুকিং দেন তাহলে আমরা গরু পৌঁছে দেবো। ক্রেতা সঠিক সময়েই গরু অথবা মাংস পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আগে এলে আগে পাবেন। গরু পাবার নিশ্চয়তা আমরা দেবো ক্রেতাদের। অনেক ক্রেতা মাংস ডোনেট করতে চাইলে সে ব্যবস্থাও রয়েছে। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন মানবসেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এজন্য একটি সাপোর্ট সেন্টার থাকবে। কোনো ধরনের সমস্যা হলে ক্রেতারা ০৯৬১১০২০৩০ এ ফোন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যত্রতত্র বা বিভিন্ন হাট-বাজারে যেসব পশু কোরবানি বা জবাই হয় সেগুলো হাইজিনিংভাবে হচ্ছে না। এজন্য এ বছর একটি সিস্টেমের মধ্যে কোরবানি দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছি। এজন্য আধুনিক পদ্ধতিতে একটি স্লোডিং হাউজের মাধ্যমে কোরবানি দেওয়া হবে। পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত লবণের ব্যবস্থা করতেছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বসিলাতে আমরা যে স্থান নির্বাচন করেছি সেখানে এক থেকে দেড় লাখ গরু রাখার বন্দোবস্ত করেছি। বনানী, উত্তরা ও বারিধারাতেও পশু রাখার বন্দোবস্ত করছি। আমরা গত বছর নয়টি স্থানে পশুরহাট করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর আমাদের তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাষানটেকসহ উত্তরা ১০, ১১ ও ১২ নম্বর সেক্টরে কোনো হাট বসবে না। এ বছর ডুমনী, ময়নারটেক, ঢাকা ট্রেরি ফেরির বাইরে, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে হাট বসবে। তবে ঢাকা উত্তরের সব হাটেই মেনে চলতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। আমি অনুরোধ করবো যাতে শারীরিকভাবে দুর্বল, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা পশুর হাটে না আসে এবার।

এজন্য অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু কেনার ও কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ডিজিটাল পশুর হাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশেনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এছাড়া যুক্ত ছিল সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।