শনিবার (১১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাহানারা বেগম ওই গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে ও হাফিজার রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, একই উপজেলার হোসনপুর ইউনিয়নের হাসবাড়ী গ্রামের হাফিজার রহমানের সঙ্গে জাহানার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে জাহানারা তিন সন্তানের জননী। কয়েকদিন আগে জাহানারা বাবার বাড়ি দিঘলকান্দি গ্রামে বেড়াতে আসেন। শনিবার সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাতি যাচ্ছিল। জাহানারা কোলের সন্তানকে নিয়ে ওই হাতি দেখার জন্য নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের ছাদে ওঠেন। হাতি দেখতে গিয়ে ছাদের কোনায় গেলে বৃষ্টিতে ভিজে থাকা ছাদে পা পিছলে যায় জাহানারার। এসময় বাঁচার জন্য জাহানারা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তার আঁকড়ে ধরেন। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সন্তানসহ নিচে পড়ে যান।
স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে
দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহানারাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ছাদ থেকে পড়েও বেঁচে যায় জাহানারার কোলের সন্তান শাহাদত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সাহা বাংলানিউজকে জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার শিশুটি বর্তমানে নিজ বাড়িতে সুস্থ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
আরএ