আটকরা হলেন-সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে এনামুল হক ও বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান।
শুক্রবার (১০ জুলাই) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাসুম কাজী জানান, বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলার আসামি এনামুল হককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মাঠপাড়ার থেকে মফিজুর রহমানকে আটক করেন। এ সময় মফিজুরের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গাছিদা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মফিজুর রহমানকে এ মামলার এজাহারভুক্ত করা না হলেও আটক দুই আসামির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তার নাম প্রকাশে এসছে। তাদের জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, মফিজুর রহমান হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। সাব্বির আহমেদ রাসেলকে হত্যার পর তার কাছে থাকা গাছিদা রেখে দিয়েছিলেন এনামুল হক। ওই গাছিদা মফিজুর রহমানের কাছে পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে আটক এনামুল হক ও মফিজুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় দু’জনই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে এনামুল হক আদালতে সাব্বির আহমেদ রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কথা স্বীকার করেন।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলায় গুরুতর আহত হন তার বড়ভাই আল-আমিন হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু সালেক মৃধা বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
ইউজি/ওএইচ/