এদিকে পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জ শহরের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। শহরের উকিল পাড়ার রাস্তায় দিনের বেলা পানি না থাকলেও সন্ধ্যায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
এছাড়া শহরের উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, মল্লিকপুর পশ্চিম তেঘরিয়াসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সুরমা নদীর পানি উপচে লোকালয় ঢুকছে। সুনামগঞ্জে বিকেলে বৃষ্টিপাত কম হলেও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি।
এ দিকে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন থেকে নরসিংহ পুর ইউনিয়নে যাওয়ার রাস্তা ডুবে গেছে। বিশ্বম্ভপুর, তাহিপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাবাস অনুযায়ী বন্যার আশঙ্কায় আগেই সবাইকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাত বাড়ায় সুরমা নদীতে পানি বাড়ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৮৩ মিলিমটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরিস্তিতির আরও অবনতি হবে বলে জানানো হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় দফার বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিলে ত্রাণ সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
উকিল পাড়ার দোকানি মামুন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, কয়েক দিন আগেও বন্যার পানি আমার দোকানে ঢুকে জিনিসপত্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ সন্ধ্যার পরও পানি বাড়ছে। অনেকে জিনিসপত্র উপরে উঠিয়েছি। আল্লাহ জানেন কি হবে সকালে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধার পর পানি আরও ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
ওএইচ/