জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১১ এপ্রিল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। একমাস পর ১১ মে ১০২ জন, ১১ জুন ২২৭ এবং ১০ জুলাই পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৬২ জনে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব না মেনে, মাস্ক না পরে মানুষ দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন। বাজারে এক-দু’জন আক্রান্ত হলে সেখান থেকে কয়েকশ’র মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞ মহল।
সম্প্রতি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও বাজারের ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। তার ঘরে রয়েছেন স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী সন্তান। নমুনা দেওয়ার পর থেকে বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রতিদিনই। থেকেছেন স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে। ১৯ দিনপর তিনি জানতে পারেন করোনা পজিটিভ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বাজারে অনেক জনপ্রিয়ও। প্রতিদিন এখানে আসেন শতাধিক ক্রেতা। এ অবস্থায় কতোজনের মধ্যে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে তা গুণে শেষ করে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় কয়েকজন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, তার পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আশা লোকদের নমুনা দ্রুত সংগ্রহ করার জন্যও বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উদাসীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর (শায়েস্তাগঞ্জসহ) ৩৩৭, চুনারুঘাট ১৫৬, মাধবপুর ১২৬, নবীগঞ্জ ৮৭, বাহুবল ৬০, লাখাই ৩৫, বানিয়াচং ৩৬ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ২৫ জন। মারা গেছেন ছয়জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৩৫ জন। তবে মারা যাওয়া দুইজন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এনটি