শুক্রবার (১০ জুলাই) ফেসবুক বার্তায় তিনি একথা বলেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বা অন্য সীমাবদ্ধতার মধ্যেও হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশি নাগরিকদের কল্যাণে যত্নশীল।
মানবপাচারের শিকার হয়ে ভিয়েতনামে আটকে পড়েছেন ২৭ জন বাংলাদেশি। তবে গত ২ জুলাই ভিয়েতনামে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য একটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। এই ফ্লাইটে ১১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসেন। এতে ২৭ বাংলাদেশি নাগরিকও ফেরার তালিকায় ছিলেন। তবে তারা ঘোষণা দেন, তাদের প্লেন ভাড়া বাংলাদেশ সরকারকে বহন করতে হবে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কোনো অবৈধ কর্মীকে দেশে ফেরতের জন্য প্লেন ভাড়া বহনে বাংলাদেশ সরকারের কোনো সুযোগ নেই। বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের প্লেন ভাড়া তাদেরই বহন করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্মীদের প্লেন ভাড়া নিজ নিজ কোম্পানি বহন করে। তবে ভিয়েতনামে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের কাজের ভিসা নেই। তারা সেখানে গিয়েছেন পর্যটক হিসেবে।
২ জুলাই বিশেষ ফ্লাইট ঢাকায় আসার পরদিন তারা ভিয়েতনামের বাংলাদেশ মিশনে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করে, যেটা আন্তর্জাতিক ও ভিয়েতনামের স্থানীয় আইনের লঙ্ঘন। তারা দূতাবাসে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টার মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন, তাদের দাবি না মানলে বিদেশের সব বাংলাদেশ মিশনে বিশৃঙ্খলা ঘটানো হবে। তারা সামাজিক গণমাধ্যমে লাইভে এসে দেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন।
কোনো বন্ধু দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের এমন কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
টিআর/এএ