শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও শহরের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা
দিয়েছে।
এছাড়া শহরের উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, মল্লিকপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এদিকে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন থেকে নরসিংহপুর ইউনিয়নে যাওয়ার রাস্তাটিও ডুবে গেছে। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
গতকাল (০৯ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে বন্যা হতে পারে এমন আশঙ্কায় সবাইকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাত বাড়লে সুরমা নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তাই বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে।
তাহিপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতেও পানি বেড়েছে। দ্বিতীয় দফার বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান
বাংলানিউজকে জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে, তাই বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
আরএ