বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মুকবুল আহম্মদ, কমল সিংহ ও ফারুক হোসেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, ধর্ষণ ও গর্ভপাতে শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার পরপর অভিযান চালিয়ে এক নারী ও এক ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে-মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই ইউনিয়নের আকাব্বর বেপারির ছেলে কায়সার হামিদ(২২)। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি কায়সারকে জানানোর পর গত ৪ জুলাই কৌশলে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর ইজিল্যাব নামের একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় ২৯ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে রিপোর্ট আসে।
পরবর্তীতে কায়সার তার সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর কলেজ রোডের নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভের শিশুটিকে মেরে ফেলে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
ইইউডি/এমএমএস