বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, সারা বছরব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ এবং দ্রুত হাসপাতালে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্পদংশন একটি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ও একটি জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে সর্পদংশন প্রায়শই ঘটে থাকে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর আনুমানিক ছয় লাখ মানুষ সর্পদংশনের শিকার হয়। এমনকি ছয় হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। গত বছর বন্যার পানিতে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল সর্পদংশন। চলতি বছর এ পর্যন্ত সর্পদংশনে মারা গেছে একজন।
এতে আরও বলা হয়, সর্পদংশনের পর বেঁচে যাওয়া অনেকের বিভিন্ন ধরনের পঙ্গুত্ব ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সর্পদংশন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। সর্পদংশন ব্যাপকভাবে ঘটলেও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। বাংলাদেশে সাধারণত পাঁচ ধরনের (গোখরা, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, সবুজ সাপ, সামুদ্রিক সাপ) বিষধর সাপ রয়েছে।
সর্প দংশনের নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী অ্যান্টিস্নেকভেনম আনুষঙ্গিক চিকিৎসা, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
এ সংক্রান্ত অনলাইন ট্রেনিং প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
পিএস/এমজেএফ