ঢাকা: ভারত-চীন সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত ৫ জুলাই দুই দেশের সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেন।
বিশেষ দুই প্রতিনিধি ভারত-চীনের পশ্চিম সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে খোলামেলা এবং বিশদ আলোচনা করেন। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
তারা সহমত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছিল তার ভিত্তিতেই উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। সে ঐকমত্য অনুসারে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির পূর্বশর্ত হিসেবে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে এবং উভয়পক্ষই মতভেদ বিবাদে রূপান্তরিত করবে না।
এছাড়াও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার এবং ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন করে আগেকার শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত হয়েছে। উভয় দেশ দ্রুততার সঙ্গে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেও একমত হয়। সেনা প্রত্যাহারের পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ উভয় দেশ সুনিশ্চিত করবে। উভয় প্রতিনিধিই ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জানান, একতরফাভাবে কোনো পক্ষ স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেবে না এবং উভয় পক্ষ সীমান্তের শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে একযোগে কাজ করবে।
উভয় প্রতিনিধি সহমত প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে যে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে, তা অব্যাহত রাখা হবে। একইসঙ্গে ভারত-চীন সীমান্ত বিষয়ে পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে তার অধীনেও আলোচনা চালু রাখা হবে। উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে এমন আলোচনার ফলাফল দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সর্বোপরি দুই বিশেষ প্রতিনিধি সহমত প্রকাশ করেন, সীমান্তে সম্পূর্ণ শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দুইজনে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
টিআর/টিএ