ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
মুন্সিগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পদ্মার পানি 

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে ৬ দশমিক ৩০ মিটার বিপৎসীমার বিপরীতে সোমবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ৪৫ মিটার ও দুপুর ১২ টায় ৬ দশমিক ৩৮ মিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পদ্মার পানি ভাগ্যকূল পয়েন্টে অবস্থান করছে। 

এদিকে রোববার (৫ জুলাই) একই পয়েন্টে সকাল ৯টায় ছিল ৬ দশমিক ৫৭ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপরে পদ্মার পানি ছিল। পদ্মা নদী তীরবর্তী লৌহজং উপজেলা ও টংগিবাড়ী উপজেলার ৩ শতাধিক পরিবারের তীরবর্তী এলাকায় আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টংগিবাড়ী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম হলো- পাঁচগাঁও ইউনিয়নের গারুরগাঁও, কুকুরাদি, কামারখাড়া ইউনিয়নের চৌষাড়, ভাঙ্গুনিয়া, বরাইল, বাগবাড়ি, দিঘিরপাড় ইউনিয়নের হায়ারপাড়, সরিষাবন, বেতকা ইউনিয়নের উত্তর বেতকা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ঝুঁকিতে আছে। এছাড়া লৌহজং উপজেলার তেউটিয়া, কনকসার ও বেজগাঁও ইউনিয়নে পানি বাড়ার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিকের বেশি পরিবার।  

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার থেকে পানি বৃদ্ধি পায়নি। কমতে শুরু করেছে। তবে নদী পাড়ে কোনো ভাঙন নেই। তবে উপজেলার তেউটিয়া ইউনিয়নের বাড়িগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। মূল পদ্মার পাশে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বাড়ির অবস্থান নেই। ১ হাজার পরিবারকে ত্রাণের ২০ মেট্রিক টন চালের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া ৫৫ হাজার টাকাও আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে। পুরো উপজেলাতে ১০০টির বেশি পরিবার ঝুঁকির মধ্যে আছে।

টংগিবাড়ী ইউএনও হাসিনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার জন্য উপজেলাতে এখনো কোনো বরাদ্দ নেই। পদ্মা ও ইছামতীতে পানি বৃদ্ধির কারণে তিনটি ইউনিয়নের ৯টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। তবে বাড়িতে এখনো পানি প্রবেশ করেনি। এসব গ্রামগুলোর প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে আছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। তীরবর্তী অনেকেই আগে থেকে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মুন্সিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী টিএম রাশিদুল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় পদ্মার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৪৫ মিটার ও দুপুর ১২টায় ছিল ৬ দশমিক ৩৮ মিটার। তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।  

নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের চর এলাকাগুলোতে থাকা বাসা বাড়িতে পানি কিছুটা প্রবেশ করলেও এমন সংখ্যা কম। তবে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে এভাবে চলতে থাকলে। বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad