ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাতিয়ায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
হাতিয়ায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চরঈশ্বর, সুখচর, নলচিরা ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ৬টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

এতে ওই ৬ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি লোকজন শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট  জোয়ারে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন চরঈশ্বর, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বেড়িবাঁধ) ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের নিস্নাঞ্চলের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়।  

বাড়ির চারপাশ ও চলাচলের রাস্তা ডুবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩ হাজার মানুষ। গত ৫ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই গ্রামগুলোর লোকজন।

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।  ছবি: বাংলানিউজমঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  রেজাউল করিম জানান, গত কয়েকদিনে পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মৎস খামারের।

তিনি আরো জানান, এ তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নেই। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বেড়িবাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রাণলয়কে জানানো  হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।