সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার ২৫ মাইল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বীরগঞ্জ উপজেলার ভাবকী গ্রামের ইদ্রীস আলীর স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৪৫), তার মেয়ে রুপা আক্তার (৮), কাহারোল উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৬০), তার স্ত্রী আসমা খাতুন (৫০) ও তার নাতনি এবং সোহান ইসলামের মেয়ে লামিয়া আক্তার (৭), একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী নার্গিস আক্তার (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরগামী যাত্রীবাহী একটি বিআরটিসি (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস একটি অটোভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে চার জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুই জন মারা যান।
আটোভ্যানের আহত অপর দুই আরোহীকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘাতক বিআরটিসি বাসটি অটোভ্যানকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছ গিয়ে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় জনতা। তারা ওই এলাকায় একটি স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবি তোলেন। পরে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও যাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪টায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত ছয় জন নিহত হয়েছেন। ভ্যানের গুরুতর আহত দুই যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বাসটির ১০ থেকে ১২ জন যাত্রীও সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
আরএ