সোমবার (৬ জুলাই) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন প্রস্তাব দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, একটা যুগান্তকারী প্রস্তাব এসেছে প্রধামন্ত্রীর কাছ থেকে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা ভাবছি, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণের অর্থ জনগণের সঞ্চয় তাদের কল্যাণেই ব্যয় হবে। এজন্য যে নিয়ম-কানুন ও নীতিমালা প্রয়োজন সেগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয় আছে, তারা দেখবে। আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে অবশ্যই সহায়তা করব।
এম এ মান্নান আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণের পক্ষে অর্থ সংরক্ষণ করে। ওখান থেকে ঋণ নিতে পারি। বাংলাদেশ ব্যাংক চিন্তা করবে কীভাবে এটা করা যায়। সাধারণত তিন মাসের আমদানি ব্যয় হাতে রাখা নিরাপদ। সেটা যেকোন অর্থনীতিতে। তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণ টাকা থাকলে স্বস্তিদায়ক হবে। এখন যে রিজার্ভ আমাদের আছে সেটা তিন মাস নয়, এক বছরের আমদানির সমপরিমাণ। সুতরাং আমদানি ব্যয়ের যুক্তিসংগত সংরক্ষণ রেখে বাকি টাকাতে আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটাতে পারি। নিজেদের অর্থ নিজেরা ব্যবহার করব।
সোমবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এমআইএস/এমজেএফ