সোমবার (০৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিল্লাল হোসেন ওই এলাকার মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন ও ডাঁসা গ্রামের দুলাল শেখের শিল্পপতি ছেলে মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই জেরে সান্দিয়ারা বাজারে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়লে সুমন গ্রুপের বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বিল্লাল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ৬ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষেই প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
আরএ