ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মানবপাচার চক্রের গডফাদাররা সিআইডির নজরদারিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
মানবপাচার চক্রের গডফাদাররা সিআইডির নজরদারিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান

ঢাকা: লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত গডফাদাররা নজরদারিতে রয়েছে। অন্যান্য দেশেও যারা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত তাদেরও নজরদারিতে রেখেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (০৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, মানবপাচারকারীদের বিষয়ে সরকারের দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমরা দুটি তালিকা পেয়েছি।

এছাড়াও পাচার হওয়া ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার ও বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসির কাছ থেকে অনেক নাম পাওয়া গেছে। তাদেরও আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, লিবিয়ায় মানবপাচারের ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন। এ ঘটনায় জড়িত গডফাদারদের তিনজনের সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না।

মাহবুবুর রহমান বলেন, মানবপাচারকারী যারা আটক হয়েছেন তাদের কাছ থেকেও আমরা অনেক নাম পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়াও আমরা মানবপাচারকারী চক্রের গডফাদারদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করছি। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে অবশ্যই সামনে নিয়ে আসব। আমরা আইনি সকল প্রসিডিউর মেনেই কাজ করছি, যাতে গ্রেফতারের পর অপরাধানীরা কোন ছাড় না পায়।

মানবচাপারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কুয়েতে আটক হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুল। তার সম্পর্কে সিআইডি কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে সকল প্রকার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। এছাড়াও এটি আন্তর্জাতিক একটি ইস্যু হওয়ায় অনেক বিষয়ে বিবেচনা করেই কাজ করতে হচ্ছে। আশা করি খুব শিগগিরই এ বিষয়ে জানাতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা মানিলন্ডারিং মামলার বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছি। প্রথমে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করতে হয়, এরপর যে তথ্য পাওয়া যায় তার ভিত্তিতে মামলা হয়। সেই মামলার তদন্ত সিআইডি করে থাকে। এখন পর্যন্ত আমরা তিনজন ব্যক্তির ফাইল ওপেন করেছি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সিআইডির কাছে মানিলন্ডারিং আইনে ১২টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে জানিয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, এ পর্যন্ত দুটি মামলার তদন্ত চলছে। ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি মামলার চার্জশিট রয়েছে, আবার নতুন করে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আশা করি এ মাসেই দুটি মামলার নিষ্পত্তি হবে। একই সাথে এই মামলাগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে আমরা মানিলন্ডারিংয়ের নতুন নতুন এভিডেন্স পেয়েছি।

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পাপিয়া ইস্যুটা একটু ঝিমিয়ে আছে। ইতোমধ্যে আমরা তার যত সম্পদ রয়েছে সমস্ত কিছুর বিষয়ে তদন্ত করেছি। আপনারা জানেন এসব তদন্ত করতে আমাদের চব্বিশটি অর্গানাইজেশনের কাছ থেকে তথ্য আনতে হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু তথ্য এসেছে আর বাকি কিছু তথ্য আসলে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই, ০৬, ২০২০
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।