জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলকাতার মেয়ে মলির সঙ্গে পরিচয় হয় মনিরুল আহসান তালুকদারের। এরপর তারা দু’জন ২০১৩ সালে বিয়েও করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিরুল বরিশাল মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি এর আগেও আরও দু’টি বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী মলি বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের আগে মনিরুলের কথা মতো হিন্দু ধর্মত্যাগ করেন তিনি। নাম রাখা হয় মলি আহসান তালুকদার। এরপর দু’জনের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। এভাবে কেটে যায় প্রায় সাত বছর। গত বছরের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন মনিরুল। এরপর আর কলকাতা ফিরে যাননি, যোগাযোগও করেননি। স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসে জানতে পারেন, তার স্ত্রী-সন্তান আছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি (মলি)। কলকাতাতেও ফিরে যেতে পারছেন না লোকলজ্জার ভয়ে। নিজের সঙ্গে এমন প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, তার সরলতার সুযোগে তার কাছ থেকে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মনিরুল। সেগুলো ফেরত দেননি। টাকা নয়, স্বামীর অধিকারের দাবি নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ন্যায় বিচার দাবি করেছেন তিনি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভারতীয় এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিত রাজধানীর বনশ্রী থেকে প্রতারক মনিরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসআরএস