ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন দু’টি মেশিন থাকায় করোনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাবের বিকল্প ভাবছেন একাধিক চিকিৎসক। এটি সম্ভব হলে কমে যাবে করোনা পরীক্ষার ফল বিড়ম্বনা।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ফেনী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার জানান, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে জেনেক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ নির্ণয়ে সফল পরীক্ষায় সাড়া পড়েছে। আমেরিকায় এ মেশিনে সফলতা অনুসরণ করে বাংলাদেশেও সফলতা এসেছে।
তিনি আরও জানান, এ মেশিনে করোনা শনাক্তে ব্যবহৃত কিট আরটি-পিসিআর ল্যাবের তুলনায় ভিন্ন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ডা. কাওসার বলেন, এ মুহূর্তে ১০ হাজার কিট মজুদ রয়েছে যা আমেরিকার একটি কোম্পানি উৎপাদন করেছে। এ মেশিনের ব্যবহার সম্ভব হলে কিটও পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কমপক্ষে একটি করে জেনেক্সপার্ট মেশিন রয়েছে। করোনা নির্ণয়ে এর ব্যবহার সম্ভব হলে আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে এবং জেলায় জেলায় যে নমুনা জট তৈরি হয়েছে তা সমাধান হবে।
তবে করোনা শনাক্তে এ মেশিন ব্যবহারে বিশেষ কিছু প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় জনবল, প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অভিযোগ রয়েছে চলমান সময়ে ভিটিএম (ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া) সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে নমুনা সংগ্রহ। এর আগে কিট সংকটে নমুনা পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ ছিল।
ডা. কাওসার বলেন, ৮ ঘণ্টায় পিসিআর মেশিনে একটি করোনা পরীক্ষা হয়, সেখানে ৪৫ মিনিটে জেনেক্সপার্ট মেশিনে এ পরীক্ষা সম্ভব।
একই সূত্র জানায়, খুব শিগগিরই দেশের আরও ১০টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এ মেশিনে করোনা নির্ণয়ে পরীক্ষা শুরু হবে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাস খুবই সংক্রমক ও ছোঁয়াচে। তাই এ মেশিনে পরীক্ষা করতে হলে পরীক্ষাগার বায়োসেফটি গ্রেড-৩ মানের হতে হবে। ফেনীতে যে দু’টি মেশিন রয়েছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পরিবেশ স্বাস্থ্যের অনুকূল ও সংক্রমণরোধী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/