ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় ৪ বেসরকারি হাসপাতালেও হবে করোনার চিকিৎসা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২০
খুলনায় ৪ বেসরকারি হাসপাতালেও হবে করোনার চিকিৎসা

খুলনা: খুলনায় চারটি বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। খুলনা সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি শয্যা খুব দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তুত করে করোনা রোগীর চিকিৎসা উপযোগী করে তোলা হবে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) খালিশপুরে লাল হাসপাতাল এবং তালতলা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা দেওয়া যায় কি না, সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। খুলনার করোনা হাসপাতালে দ্রুত হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন এবং করোনা ভাইরাস শনাক্তে আরো একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘোষিত তিনটি রেডজোন ১৪দিন পরে ইয়োলো জোনে রূপান্তরিত হলো কিনা তা অনুসন্ধান করা হবে। রোটারি ক্লাব করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করবে।

খুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতা সীমিত। বেসরকারি হাসপাতাগুলো মানবিকতার নিদর্শন রাখতে করোনা চিকিৎসায় নিশ্চয় এগিয়ে আসবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের একটি অংশে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি অংশে ৫০টি শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা থাকবে। আগামী তিনদিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালু করা হবে। পাশাপাশি খুলনা সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি শয্যা অতি দ্রুততার সঙ্গে উপযোগী করতে সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। খুমেকের পিসিআর ল্যাবের করোনা শনাক্তের পরীক্ষার রিপোর্ট (নেগেটিভ ও পজিটিভ উভয় ক্ষেত্রে) অতি দ্রুততার সঙ্গে মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএস-এর মাধ্যমে সিভিল সার্জনের দপ্তর জানানোর ব্যবস্থা করবে। কেসিসির আওতায় খালিশপুরের লাল হাসপাতাল ও তালতলা হাসপাতাল দু’টি করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।

তিনি আরো বলেন, খুলনার করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় আরো একটি পিসিআর ল্যাব এবং করোনা হাসপাতালে দ্রুত হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতোপূর্বে ঘোষিত তিনটি রেডজোন এলাকায় ১৪দিন পর ইয়োলোজোনে রূপান্তরিত হলো কি না তার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উপযুক্ত জায়গা পেলে খুলনার রোটারি ক্লাব করোনা চিকিৎসায় জন্য ১০০টি শয্যার যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিতে প্রস্তুত আছে।

সভার শেষে উদ্ভুত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী পৌঁছে দিতে অনলাইনভিত্তিক অ্যাপ Online Medicine Mart, Khulna -এর উদ্বোধন করা হয়। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওষুধ সামগ্রী সংগ্রহের এ অ্যাপটির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সভায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।