এসব সংক্রামক বর্জ্য আলাদা করে না ফেলায় বাড়ছে সংক্রমণ বিস্তারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
রোববার (০৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নিজেদের পরিচালিত জরিপের তথ্য তুলে ধরে এ কথা জানিয়েছে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন, বাংলাদেশ (এনসিসি,বি)।
এনসিসি,বিকে এ জরিপ পরিচালনায় সহযোগিতা করে এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্ক (ইডিএন) এবং উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট।
সংগঠন তিনটির যৌথ এ সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ সংক্রামক বর্জ্য এবং বাসাবাড়ির সাধারণ বর্জ্য একই পাত্রে সংরক্ষণ করেন। আর প্রায় সমান সংখ্যক মানুষ এ দুই ধরনের বর্জ্য আলাদা ঝুড়িতে ফেলেন। দশমিক ৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তাদের বাসায় বর্জ্য সৃষ্টি হয় না এবং দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা নিজের নির্ধারিত বড় ডাস্টবিনে ফেলেন।
৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ করোনাকালে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত সামগ্রীর বর্জ্য সংরক্ষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ওয়ার্ড কাউন্সিলসহ অন্যান্য দায়িত্বরত কৃর্তপক্ষের কোনো রকম নির্দেশনা পাননি বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
অন্যদিকে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের ৬১ দশমিক ১ শতাংশ সংক্রামক বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য একসঙ্গে মিশিয়ে সংগ্রহ করেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে।
সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে সংক্রামক বর্জ্য মিশিয়ে ফেলায় একদিকে সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে, অন্য দিকে সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে অপচনশীল এসব বর্জ্য মিশে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে সতর্ক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন, বাংলাদেশের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান অপু, উন্নয়ন ধারার সদস্য সচিব আমিনুর রহমান বাবুল ও এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের (ইডিএন) নির্বাহী সমন্বয়ক আর্নিকা তাসমীম মিতু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এমইউএম/এসআই