আজাদ আলীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার জামগ্রামে। তিনি করোনা পজিটিভ রোগী ছিলেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আজাদ আলীর মৃত্যুর পর রোববার (৫ জুলাই) ভোরে তার মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে অবহিত করা হয়। এরপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা আজাদ আলীর ভাই এবং ভাবির সঙ্গে কথা বলেন। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের জানান, গ্রামে এই করোনায় মৃতের দাফন করতে দেওয়া হবে না। কোয়ান্টাম যেন রাজশাহীতেই মরদেহটি দাফনের ব্যবস্থা করে।
সে অনুযায়ী, কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবকরা ভোর ৫টায় রাজশাহীতে কবর খনন শুরু করেন। এরপর ভোর ৬টায় আইসিইউ’র সামনে গিয়ে দেখেন মৃত ব্যক্তির ভাই এবং ভাবি সেখানে নেই। অন্য রোগীর স্বজনরা জানান, ফজরের আযানের পর তারা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেছেন। এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ।
কোয়ান্টাম আরও জানায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের মোবাইল নম্বর দুটি বন্ধই পাওয়া যায়। এরপর একটি মোবাইল নাম্বারে কল ঢোকে। তখন তাদের জানানো হয়, তারা মরদেহ নেবেন না। রাজশাহীতেই যেন দাফন করে দেয়া হয়। এর পর থেকে নাম্বার দুটি আবারও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে তাদের মরদেহ বুঝিয়ে দিলে দাফন করা হবে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, স্বজনরা মরদেহ নেবেন না। আমরা বেওয়ারিশ হিসেবে পুলিশকে মরদেহ বুঝিয়ে দেব। পুলিশ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেবে। এরপর মরদেহ দাফন হবে বলেও উল্লেখ করেন রামেক হাসপাতাল উপপরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এসএস/এমকেআর