সৈয়দপুর উপজেলা শহরের বাইরে দিয়ে চিকলি, খড়খড়িয়া, বাগডোকরা মাঝারি ও ছোট নদী বয়ে গেছে। এসব নদীতে সারাবছর পানি না থাকলেও বর্ষাকালে পানিতে ভরে যায়, সেসময় ওই নদীতে মাছ ধরেন এলাকাবাসী।
এর মধ্যে চিকলি নদীর পলি অপসারণ করা হলেও অন্য দুটি নদী প্রায় ভরাটের পথে। এ অবস্থায় এলাকার মানুষ দখলে নিয়েছে বিভিন্ন স্থান। কেউ কেউ নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মেশিনপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং জরিমানাও করে। তবুও থামছে এই বালু উত্তোলন। ফলে পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতিপথ।
বিভিন্ন স্থানে তীর দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নদী তীর থেকে যে যার মতো করে কেটে নিচ্ছে মাটি। এছাড়াও ড্রেনের ময়লা পানি গিয়ে মিশছে নদীতে। এসব কারণে একদিকে যেমন কমছে নদীর প্রশস্ততা, সেইসঙ্গে মাছসহ জলজ প্রাণী ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বেলাল হোসেন (৩৪), সাইদুর রহমান (৪২) ও ইমারত আলী (৬২) জানান, ইকু পেপার মিলের বর্জ্য খড়খড়িয়া নদীতে ফেলায় পানি দুধের মতো সাদা হয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে নদীর পানি এখন তাদের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকু পেপার মিলের মালিক সিদ্দিকুল আলম বলেন, আমার কোম্পানিতে নিজস্ব ইটিপি রয়েছে। বাইরে বর্জ্য ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো. রমিজ আলম জানান, আমি সৈয়দপুরে নতুন এসেছি। আগের কর্মকর্তা এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন অনেককে। এর পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
আরএ