শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় শতাধিক কৃষক এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বনগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন ঢালী, শিক্ষক দোলন ঢালী, সুজাত, বাবুল সিংহ, সাব্বির শেখ, শিউলী রানী ঢালী, সুজাত মণ্ডল, প্রদীপ, রঞ্জন মল্লিকসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের অর্থায়নে বিষখালী-কন্দপুকুর-বহরবৌলা খালের দুই কিলোমিটার খনন শুরু হয়। পাঁচ/ছয়শ মিটার খুব ভালভাবে খনন করা হয়। পরে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য অঞ্জলি হালদার, অঞ্জন হালদার, বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মনি শঙ্কর ঢালিসহ কিছু অসাধু লোক খাল খননে বাধা দেন।
বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা খাল খনন বন্ধ করে দেয়। খাল খনন না হলে এই এলাকার কৃষকরা মাঠে মারা যাবে। খালটি ভরে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে ক্ষেতের জন্য পানি পাওয়া যায় না, আর বৃষ্টি মৌসুমে পানি নামতে পারে না। খালটি খনন হলে এলাকায় ফসলাদির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। যেকোনো মূল্যে অতিদ্রুত খাল খননের দাবি জানান কৃষকরা।
ঠিকাদারের ম্যানেজার মনি শঙ্কর মল্লিকের অভিযোগ, খাল খনন শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে কয়েকজন লোক এসে খননে বাধা দেয়। বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস আমার ঠিকাদারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুনীল কুমার মণ্ডল বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আমরা অনুরোধ করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে এই খালটি খননের ব্যবস্থা করি। এই খালটি খনন করে এলাকার শত শত কৃষক অনেক উপকৃত হবে। কিন্তু খনন শুরু হওয়ার পরে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে এলাকার জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিদ্রুত এই খালটি খনন করার দাবি জানান তিনি।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস বলেন, এলাকার মানুষের উপকারের জন্যই খাল খনন হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি মৌসুমে ভেকু (স্কাভেটর) দিয়ে খাল খননের ফলে স্থানীয় অনেক মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। গাছপালা ও রাস্তা ধ্বংস করে ভ্যাকু চালাচ্ছে। খাল খননের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তারাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
আরএ