ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ সড়কের বেহাল দশা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ সড়কের বেহাল দশা বর্ষার সময়ের রাস্তা। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: সংস্কার না করায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের সড়কটি। সঠিক সময় সংস্কার না করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের।

ঢাকা-অারিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ডান পাশ দিয়ে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের সামনে দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার প্রবেশের অন্যতম রাস্তা। অন্যদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভেতর দিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা পার হয়ে স্বল্প সময়ে টাঙ্গাইল জেলা দিয়ে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তা এটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের রমজান অালী কলেজ গেট হয়ে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানা-খন্দে ভরে অাছে। চলতি মৌসুমের বৃষ্টিতে অবস্থা অারো খারাপ হয়ে গেছে। এতে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কটি দ্রুত সময়ে সংস্কার না করা হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার অাশঙ্কা করছেন অনেকেই। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এর দুপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন ও হাজার হাজার লোকজন এ রাস্তায় চলাচল করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটি এতই ভাঙাচোড়া যে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা রিকশা, সাইকেল পর্যন্ত ঠিকমত চলতে পারে না। আর বৃষ্টি হলে তো বোঝার উপায় থাকে না যে এটি রাস্তা না কি জলাশয়, সেসময় দুর্ঘটনা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ।

অাফজাল নামে জয়রা এলাকার এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তাটি অনেকদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। শুকনা মৌসুমে তেমন কোনো সমস্যা হয় না, তবে বৃষ্টির মৌসুমে দোকান খুলে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি না। রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করলে গাড়ির চাকায় পানি ছিটে দোকানের ভেতর প্রবেশ করে। এ করাণে বৃষ্টি মৌসুমে বাধ্য হয়ে কিছুদিন দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই এতে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।

সোনাই নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশা এক চালক বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে থাকে সে সময় বোঝা যায় না কোন অংশটুকু ভালো আর কোন অংশটুকুতে গর্ত আছে। আমরা মাঝ বরাবর গাড়ি চালাতে শুরু করলে অনেক সময় ভাঙার মধ্যে পড়ে গাড়ি উল্টে যায় তখন যাত্রীরাও পানির মধ্যেই পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। আমাদের একটাই দাবি এ রাস্তাটি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হোক। শুকনা মৌসুমের রাস্তা।  ছবি: বাংলানিউজবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জাহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় রয়েছে সড়কটি। শুনেছি রাস্তার টেন্ডারও হয়েছে কিন্তু এখনো ঠিকাদার কাজ শুরু করেনি। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত না করলে দুর্ঘটনার অাশঙ্কা থেকেই যাবে। লোকজনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

মানিকগঞ্জ এলজিইডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলে হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তাটি মেরামতের জন্য ১১ কোটি টাকার কিছু বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। মহামারি করোনার জন্য রাস্তার কাজ ঠিকাদার করতে পারছেন না, তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।