আসছে ঈদ উল আজহা কেন্দ্র করে নিজেদের এলাকায় ১০টি পশুর হাট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল ডিএনসিসির। এ লক্ষ্যে ইজারার দরপত্র আহ্বান করে প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত ১০টি হাটের মধ্যে ছিল মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং হাট, আগারগাঁও, ৩০০ ফিট এলাকার ডুমনি, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশে ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের ফাঁকা জায়গা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা), ভাসানটেক, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬-এর (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশের সেতু প্রপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ, বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) সড়কের হাট ইত্যাদি।
তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় এগুলোর থেকে তিনটি হাট বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- ভাসানটেক, ইস্টার্ন হাউজিং এবং আফতাব নগরের হাট। উত্তরার সবগুলো হাট মিলিয়ে বৃন্দাবন এলাকায় একটি হাট হবে। অর্থাৎ ইজারা পেতে যাওয়া হাটগুলো হচ্ছে, মোহাম্মদপুরের বছিলা, কাওলার হাট, ৩০০ ফিট সড়কের ডুমনি হাট, ভাটারার সাঈদ নগর হাট এবং উত্তরার বৃন্দাবন। এছাড়াও থাকছে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট।
বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হলেও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই হাটগুলোর ইজারা যে ফিরিয়ে দিচ্ছি এতে কোটি কোটি টাকা আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তবুও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আগে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আমরা এবার হাট দিতে পারি না। শহরের পরিধির একটু বাইরে বা খোলামেলা এলাকায় হাট দিচ্ছি। এরপরেও যে চাহিদা থাকবে তার জন্য ডিজিটাল হাট বসবে। এ বিষয়ে ইক্যাবের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।
এদিকে পশুর ডিজিটাল হাট স্থাপনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে ইক্যাব। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা মোটামুটি চূড়ান্ত। কীভাবে কী অপারেশন করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এবারই প্রথম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমরা ইক্যাব, এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং আই-ল্যাব যৌথভাবে এমন হাট করতে যাচ্ছি। এই হাটের সার্বিক বিষয় বাস্তবায়ন করবেন আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেবো।
তমাল বলেন, এবার যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মানার একটি ব্যাপার আছে আমরা সেই জায়গাতেই অবদান রাখতে চাই। আমরা সিটি করপোরেশনের কাছে একটি জায়গা চেয়েছি। একজন ক্রেতা তার পশু কিনলে পশুগুলো সেখানে রাখা হবে। কেউ হয়তো নিজের পশু দেখতে চান। যথাযথ নিয়ম মেনে তাকে তার পশু দেখানো হবে। এখানে কোনোভাবেই বেচাকেনা হবে না। আর যারা পশু বাসায় নিতে চাইবেন তাদের হোম ডেলিভারিতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সীমিত আকারে আমরা পশু কোরবানি করে মাংস হোম ডেলিভারিতে পৌঁছে দেওয়ার সেবাও রাখছি এবার।
‘একটি পশু জবাই করে মাংস কাটার এই পুরো প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো মানুষকে কাছাকাছি আসতে হয় যেটা এই সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো মেনে পশু কোরবানি করে মাংস কেটে ক্রেতার বাড়িতে দিয়ে আসবো। তারা যেন কোরবানি এবং মাংস কাটার পর্বটি ঘরে বসেই লাইভ ভিডিওতে দেখতে পান সেই প্রযুক্তি নিয়েও আমরা কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এসএইচএস/এএ