এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষা মৌসুম এলেই এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। নদী ঘেঁষা গ্রাম হওয়ার কারণে ডাকাতরা বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে করোনাকালীন সময়ে ডাকাত ও চোরের উপদ্রপের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়ে গেছে। মহজমপুর গ্রামের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে মাদক কেনা বা সেবনের জন্য এ এলাকায় দিনের বেলায় বহিরাগতদের প্রবেশ বেড়ে গেছে।
গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গত ১৯ জুন মহজমপুর বাজারে মো. শহীদুল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সভা করেন। সভার পর ২৭ জুন সিরাজুল হকের ছেলে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলামকে ইয়াবা বিক্রির সময় ৪৮ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশে দেয়। এসময় তার সহযোগী মো. সফর পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে গ্রামবাসীর মাদকের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকার পর থেকে একটি মহল মাদক ব্যবসায়ীদের শক্তি, সাহস ও অর্থ যোগান দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে মাজহারুল ইসলামকে পুলিশে দেওয়ার পর থেকে তার সহযোগীরা গ্রামবাসীদের দেখে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা না গেলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসী এই মহলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মহজমপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ জানান, দিনের বেলায় মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা এসে দেখে গিয়ে রাতের বেলায় ডাকাতি করতে আসে। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে না পারলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডাকাতি ও চুরি ঠেকাতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বশিরগাঁও গ্রামের মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিনই ডাকাতরা এ এলাকায় হানা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সুযোগ বুঝে টার্গেট করা বাড়িতে ডাকাতি করে থাকে তারা। এলাকাবাসী ডাকাতি ও চুরি প্রতিরোধে প্রতিদিন পাহারা দেন।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসী পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। এতে ডাকাতি ও চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আশা করি। আর দিনের বেলায় এসব এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এইচএডি/